fbpx

ড. ইয়াদ কুনাইবী

মোট 12 টি আইটেম পাওয়া গিয়েছে।

ড. ইয়াদ কুনাইবী

ড. ইয়াদ আল কুনাইবী একজন স্বনামখ্যাত দ্বীনের দায়ী। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক। ঔষধবিজ্ঞান (pharmacology) গবেষক। জন্ম: তাঁর জন্ম ১৬ শাওয়াল ১৩৯৫ হিজরি মোতাবেক ২২ অক্টোবর ১৯৭৫ খৃষ্টাব্দে রোজ বুধবার। জন্মস্থান কুয়েতের সালিমিয়া। তাঁর পিতা মাতা ছিলেন ফিলিস্তিনের মুহাজির। ফিলিস্তিনের হেবরন থেকে জায়নবাদের নৃশংস জুলুম ও অত্যাচারের স্বীকার হয়ে তাঁর পরিবার প্রথমে কুয়েতে হিজরত করে। ইয়াদ আল কুনাইবীর জন্মের পর শৈশবেই তাঁর প্ররিবার স্থায়ীভাবে জর্দানের রাজধানী আম্মানে চলে আসে। শিক্ষাজীবন : পড়াশোনার হাতেখড়ি আম্মানের সরকারী প্রাথমিক প্রতিষ্ঠানে। মাধ্যমিকে পড়ার সময় জর্দান শহরের এক কবিতা ও প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সাহিত্যাংগনে প্রতিভার স্বাক্ষর রাখার আভাষ দেন। ১৯৯৮ সালে তিনি জর্দান ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে ফার্মেসিতে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন এবং সম্মানসূচক সম্মাননা অর্জন করেন এবং প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান লাভ করেন। শিক্ষাজীবনে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ‘TOEFL’ এ ৬২০ এবং ‘GRE-Analytical’ এ ৭৬০ স্কোর নিয়ে ঈর্ষনীয় ফলাফল লাভ করেন। ১৯৯৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত হিউস্টন ইউনিভার্সিটির বৃত্তি পেয়ে সেখানে চলে যান। সেখানে তিনি শিক্ষার্থীদের গবেষনা সহকারী হিসেবে ‘pharmacology’ বিভাগে যোগদান করেন। ২২০৩ সালে এই বিভাগ থেকে প্রথম স্থান লাভ করে সুনামের সাথে PHD সম্পন্ন করেন। এর পরপরই বিশ্ববিখ্যাত টেক্সাস মেডিকেল সেন্টারে তৎকালীন সেরা চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের সাথে গবেষনামূলক কাজে অংশগ্রহনের বিরল সুযোগ লাভ করেন। চিকিৎসা বিজ্ঞানে নিজের প্রতিভার উজ্জল স্বাক্ষর রাখার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেই তিনি মিশরের ইসলামী আন্দোলনের পথিকৃৎ ‘সাইয়্যিদ কুতুব শহীদের’ মাধ্যমে ইসলাম ও ইসলামী শিক্ষার প্রতি ঝুকে পড়েন। কর্মজীবন: উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগে তিনি জর্দানের সরকারী গবেষনা ও উন্নয়ন বিভাগে দেশীয় প্রতিষ্ঠানের ওষুধ উৎপাদনের কাজে যোগদান করেন। এ সময়ে তিনি জারকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৯৯ সালে একটি গবেষনাপত্র পাঠ করার পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করেন। ২০০৩ সালেউচ্চতর ডিগ্রি লাভের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কাজের সুযোগ গ্রহণ না করে তিনি দেশে ফিরে এসে আম্মান বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত বিজ্ঞান অনুষদে যোগদান করেন। জর্ডানের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। আধূনিক চিকিৎসা শাস্ত্রে তাঁর বেশ কিছু গবেষনা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রশংসা কুড়িয়েছে। বিশ্ববিখ্যাত বিভিন্ন বিজ্ঞানভিত্তিক জার্নালে তাঁর গবেষনা পত্র প্রকাশিত হয়েছে। দ্বীনি দাওয়াতঃ ইয়াদ আল কুনাইবী ১৯৯৭ সাল থেকেই তাঁর দাওয়াতী কার্যক্রম শুরু করেন। এসময় তিনি ও তাঁর সঙ্গীগণ বিভিন্ন মসজিদে গিয়ে মুসুল্লীদের মাঝে দ্বীনি দাওয়াত চালাতেন। দ্বীনি দাওয়াতের পাশাপাশি তিনি ইলমে দ্বীনের একনিষ্ঠ ছাত্র হিসেবে কঠোর পরিশ্রম করেন। শাইখ আব্দুর রহমান বিন আলী আল মাহমুদের নিকট হাফস বিন আ’সিম রহঃ এর সনদে ইলমুল কিরাআত শিক্ষা করেন। ইবনুল কায়্যিম জাওযী, সাইয়্যিদ কুতুব শহীদ, নাসিরুদ্দীন আলবানী, আলী আল করনী, শাইখ মুহাম্মাদ মুনাজ্জিদ, ড. মুহাম্মাদ আব্দুল কুদ্দুস, ড. মুহাম্মাদ ইসমাইল আল-মুকাদ্দাম, আবু মুহাম্মাদ মাকদাসী এবং ড. রাগিব সারজানী রহঃ প্রমূখ বিশ্ব বরেন্য ব্যক্তিবর্গের লিখনির একনিষ্ঠ পাঠক হয়ে উঠেন। এসকল মনিষীর লিখনী হতে তিনি তাফসীর, সীরাত, ফিকাহ সহ বিভিন্ন দ্বীনি শাস্ত্রে গভীর ব্যুৎপত্তি লাভ করেন। দেশের গণ্ডি পেড়িয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও তিনি মুসলিম-অমুসলিম সবার দ্বীনের দাওয়াত অব্যাহত রাখেন। বিভিন্ন আরব ও অনারব ইসলামী ব্যক্তিত্ব ও বিশ্বব্যাপী ইসলামী আন্দোলনের উত্থান পতনে তিনি গভীরভাবে প্রভাবিত হন। তাঁর দাওয়াতী কার্যক্রমে জিহাদের পক্ষে ও ক্রসেডারদের বিপক্ষে জোড়ালো বক্তব্য ও লিখনী উঠে আসতে শুরু করে। যার ফলশ্রুতিতে আফগান জিহাদে তালিবানকে সহযোগিতার অভিযোগ সহ বিভিন্ন অভিযোগে তিনি বেশ কয়েকবার গ্রেফতার হন এবং বন্দি জীবনের স্বাদ গ্রহণ করেন। ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত চার বার গ্রেফতার হয়ে বিভিন্ন মেয়াদে দুই বছরেরু বেশি সময় তিনি কারাবন্দী থাকেন। হামলা, মামলা ও বন্দী জীবনের ভয় আদর্শের পথে তাঁর যাত্রাকে রুখতে পারেনি। ক্ষুরধার লিখনীর পাশাপাশি বক্তব্য, তথ্যচিত্র নির্মান, বিভিন্ন কর্মশালার মাধ্যমে স্যোশাল মিডিয়া সহ সাধারণ জীবনেও তিনি তাঁর দাওয়াতের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। www.al-furqan.org সাইটটিতে ঢু মারলে তাঁর কার্যক্রমের বিস্তারিত ফিরস্তি মিলবে। রচনাঃ ‘হাজান নিফাকু ফাহজারুহ’(নিফাক থেকে বাঁচুন) তাঁর অনবদ্য একটি রচনা। এছাড়াও ‘বিহুব্বিল্লাহি আতাসব্বারু’, ‘ফি কুল্লি ইয়াওমিন লানা ঈদুন’ এবং ‘ গায়াতুন ওয়া আয়াতুন’ নামে তাঁর একাধিক কাব্যগ্রন্থ রয়েছে। তাঁর নিজস্ব সাইটে তাঁর রচিত বিভিন্ন প্রবন্ধ, নিবন্ধ, তথ্যচিত্র ও ভিডিও বার্তা রয়েছে। আল্লাহ তা’আলা তাঁর ইলম, আমল ও মেহনতকে কবুল ফরমান।

ড. ইয়াদ আল কুনাইবী একজন স্বনামখ্যাত দ্বীনের দায়ী। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক। ঔষধবিজ্ঞান (pharmacology) গবেষক। জন্ম: তাঁর জন্ম ১৬ শাওয়াল ১৩৯৫ হিজরি মোতাবেক ২২ অক্টোবর ১৯৭৫ খৃষ্টাব্দে রোজ বুধবার। জন্মস্থান কুয়েতের সালিমিয়া। তাঁর পিতা মাতা ছিলেন ফিলিস্তিনের মুহাজির। ফিলিস্তিনের হেবরন থেকে জায়নবাদের নৃশংস জুলুম ও অত্যাচারের স্বীকার হয়ে তাঁর পরিবার প্রথমে কুয়েতে হিজরত করে। ইয়াদ আল কুনাইবীর জন্মের পর শৈশবেই তাঁর প্ররিবার স্থায়ীভাবে জর্দানের রাজধানী আম্মানে চলে আসে। শিক্ষাজীবন : পড়াশোনার হাতেখড়ি আম্মানের সরকারী প্রাথমিক প্রতিষ্ঠানে। মাধ্যমিকে পড়ার সময় জর্দান শহরের এক কবিতা ও প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সাহিত্যাংগনে প্রতিভার স্বাক্ষর রাখার আভাষ দেন। ১৯৯৮ সালে তিনি জর্দান ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে ফার্মেসিতে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন এবং সম্মানসূচক সম্মাননা অর্জন করেন এবং প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান লাভ করেন। শিক্ষাজীবনে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ‘TOEFL’ এ ৬২০ এবং ‘GRE-Analytical’ এ ৭৬০ স্কোর নিয়ে ঈর্ষনীয় ফলাফল লাভ করেন। ১৯৯৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত হিউস্টন ইউনিভার্সিটির বৃত্তি পেয়ে সেখানে চলে যান। সেখানে তিনি শিক্ষার্থীদের গবেষনা সহকারী হিসেবে ‘pharmacology’ বিভাগে যোগদান করেন। ২২০৩ সালে এই বিভাগ থেকে প্রথম স্থান লাভ করে সুনামের সাথে PHD সম্পন্ন করেন। এর পরপরই বিশ্ববিখ্যাত টেক্সাস মেডিকেল সেন্টারে তৎকালীন সেরা চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের সাথে গবেষনামূলক কাজে অংশগ্রহনের বিরল সুযোগ লাভ করেন। চিকিৎসা বিজ্ঞানে নিজের প্রতিভার উজ্জল স্বাক্ষর রাখার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেই তিনি মিশরের ইসলামী আন্দোলনের পথিকৃৎ ‘সাইয়্যিদ কুতুব শহীদের’ মাধ্যমে ইসলাম ও ইসলামী শিক্ষার প্রতি ঝুকে পড়েন। কর্মজীবন: উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগে তিনি জর্দানের সরকারী গবেষনা ও উন্নয়ন বিভাগে দেশীয় প্রতিষ্ঠানের ওষুধ উৎপাদনের কাজে যোগদান করেন। এ সময়ে তিনি জারকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৯৯ সালে একটি গবেষনাপত্র পাঠ করার পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করেন। ২০০৩ সালেউচ্চতর ডিগ্রি লাভের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কাজের সুযোগ গ্রহণ না করে তিনি দেশে ফিরে এসে আম্মান বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত বিজ্ঞান অনুষদে যোগদান করেন। জর্ডানের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। আধূনিক চিকিৎসা শাস্ত্রে তাঁর বেশ কিছু গবেষনা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রশংসা কুড়িয়েছে। বিশ্ববিখ্যাত বিভিন্ন বিজ্ঞানভিত্তিক জার্নালে তাঁর গবেষনা পত্র প্রকাশিত হয়েছে। দ্বীনি দাওয়াতঃ ইয়াদ আল কুনাইবী ১৯৯৭ সাল থেকেই তাঁর দাওয়াতী কার্যক্রম শুরু করেন। এসময় তিনি ও তাঁর সঙ্গীগণ বিভিন্ন মসজিদে গিয়ে মুসুল্লীদের মাঝে দ্বীনি দাওয়াত চালাতেন। দ্বীনি দাওয়াতের পাশাপাশি তিনি ইলমে দ্বীনের একনিষ্ঠ ছাত্র হিসেবে কঠোর পরিশ্রম করেন। শাইখ আব্দুর রহমান বিন আলী আল মাহমুদের নিকট হাফস বিন আ’সিম রহঃ এর সনদে ইলমুল কিরাআত শিক্ষা করেন। ইবনুল কায়্যিম জাওযী, সাইয়্যিদ কুতুব শহীদ, নাসিরুদ্দীন আলবানী, আলী আল করনী, শাইখ মুহাম্মাদ মুনাজ্জিদ, ড. মুহাম্মাদ আব্দুল কুদ্দুস, ড. মুহাম্মাদ ইসমাইল আল-মুকাদ্দাম, আবু মুহাম্মাদ মাকদাসী এবং ড. রাগিব সারজানী রহঃ প্রমূখ বিশ্ব বরেন্য ব্যক্তিবর্গের লিখনির একনিষ্ঠ পাঠক হয়ে উঠেন। এসকল মনিষীর লিখনী হতে তিনি তাফসীর, সীরাত, ফিকাহ সহ বিভিন্ন দ্বীনি শাস্ত্রে গভীর ব্যুৎপত্তি লাভ করেন। দেশের গণ্ডি পেড়িয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও তিনি মুসলিম-অমুসলিম সবার দ্বীনের দাওয়াত অব্যাহত রাখেন। বিভিন্ন আরব ও অনারব ইসলামী ব্যক্তিত্ব ও বিশ্বব্যাপী ইসলামী আন্দোলনের উত্থান পতনে তিনি গভীরভাবে প্রভাবিত হন। তাঁর দাওয়াতী কার্যক্রমে জিহাদের পক্ষে ও ক্রসেডারদের বিপক্ষে জোড়ালো বক্তব্য ও লিখনী উঠে আসতে শুরু করে। যার ফলশ্রুতিতে আফগান জিহাদে তালিবানকে সহযোগিতার অভিযোগ সহ বিভিন্ন অভিযোগে তিনি বেশ কয়েকবার গ্রেফতার হন এবং বন্দি জীবনের স্বাদ গ্রহণ করেন। ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত চার বার গ্রেফতার হয়ে বিভিন্ন মেয়াদে দুই বছরেরু বেশি সময় তিনি কারাবন্দী থাকেন। হামলা, মামলা ও বন্দী জীবনের ভয় আদর্শের পথে তাঁর যাত্রাকে রুখতে পারেনি। ক্ষুরধার লিখনীর পাশাপাশি বক্তব্য, তথ্যচিত্র নির্মান, বিভিন্ন কর্মশালার মাধ্যমে স্যোশাল মিডিয়া সহ সাধারণ জীবনেও তিনি তাঁর দাওয়াতের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। www.al-furqan.org সাইটটিতে ঢু মারলে তাঁর কার্যক্রমের বিস্তারিত ফিরস্তি মিলবে। রচনাঃ ‘হাজান নিফাকু ফাহজারুহ’(নিফাক থেকে বাঁচুন) তাঁর অনবদ্য একটি রচনা। এছাড়াও ‘বিহুব্বিল্লাহি আতাসব্বারু’, ‘ফি কুল্লি ইয়াওমিন লানা ঈদুন’ এবং ‘ গায়াতুন ওয়া আয়াতুন’ নামে তাঁর একাধিক কাব্যগ্রন্থ রয়েছে। তাঁর নিজস্ব সাইটে তাঁর রচিত বিভিন্ন প্রবন্ধ, নিবন্ধ, তথ্যচিত্র ও ভিডিও বার্তা রয়েছে। আল্লাহ তা’আলা তাঁর ইলম, আমল ও মেহনতকে কবুল ফরমান।

ড. ইয়াদ কুনাইবী

মোট 12 টি আইটেম পাওয়া গিয়েছে।

ড. ইয়াদ আল কুনাইবী একজন স্বনামখ্যাত দ্বীনের দায়ী। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক। ঔষধবিজ্ঞান (pharmacology) গবেষক।

জন্ম: তাঁর জন্ম ১৬ শাওয়াল ১৩৯৫ হিজরি মোতাবেক ২২ অক্টোবর ১৯৭৫ খৃষ্টাব্দে রোজ বুধবার। জন্মস্থান কুয়েতের সালিমিয়া। তাঁর পিতা মাতা ছিলেন ফিলিস্তিনের মুহাজির। ফিলিস্তিনের হেবরন থেকে জায়নবাদের নৃশংস জুলুম ও অত্যাচারের স্বীকার হয়ে তাঁর পরিবার প্রথমে কুয়েতে হিজরত করে। ইয়াদ আল কুনাইবীর জন্মের পর শৈশবেই তাঁর প্ররিবার স্থায়ীভাবে জর্দানের রাজধানী আম্মানে চলে আসে।

শিক্ষাজীবন : পড়াশোনার হাতেখড়ি আম্মানের সরকারী প্রাথমিক প্রতিষ্ঠানে। মাধ্যমিকে পড়ার সময় জর্দান শহরের এক কবিতা ও প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সাহিত্যাংগনে প্রতিভার স্বাক্ষর রাখার আভাষ দেন।

১৯৯৮ সালে তিনি জর্দান ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে ফার্মেসিতে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন এবং সম্মানসূচক সম্মাননা অর্জন করেন এবং প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান লাভ করেন। শিক্ষাজীবনে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি ‘TOEFL’ এ ৬২০ এবং ‘GRE-Analytical’ এ ৭৬০ স্কোর নিয়ে ঈর্ষনীয় ফলাফল লাভ করেন।

১৯৯৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত হিউস্টন ইউনিভার্সিটির বৃত্তি পেয়ে সেখানে চলে যান। সেখানে তিনি শিক্ষার্থীদের গবেষনা সহকারী হিসেবে ‘pharmacology’ বিভাগে যোগদান করেন।

২২০৩ সালে এই বিভাগ থেকে প্রথম স্থান লাভ করে সুনামের সাথে PHD সম্পন্ন করেন।
এর পরপরই বিশ্ববিখ্যাত টেক্সাস মেডিকেল সেন্টারে তৎকালীন সেরা চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের সাথে গবেষনামূলক কাজে অংশগ্রহনের বিরল সুযোগ লাভ করেন।
চিকিৎসা বিজ্ঞানে নিজের প্রতিভার উজ্জল স্বাক্ষর রাখার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেই তিনি মিশরের ইসলামী আন্দোলনের পথিকৃৎ ‘সাইয়্যিদ কুতুব শহীদের’ মাধ্যমে ইসলাম ও ইসলামী শিক্ষার প্রতি ঝুকে পড়েন।

কর্মজীবন: উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগে তিনি জর্দানের সরকারী গবেষনা ও উন্নয়ন বিভাগে দেশীয় প্রতিষ্ঠানের ওষুধ উৎপাদনের কাজে যোগদান করেন। এ সময়ে তিনি জারকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৯৯ সালে একটি গবেষনাপত্র পাঠ করার পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করেন।

২০০৩ সালেউচ্চতর ডিগ্রি লাভের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কাজের সুযোগ গ্রহণ না করে তিনি দেশে ফিরে এসে আম্মান বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত বিজ্ঞান অনুষদে যোগদান করেন।
জর্ডানের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন।
আধূনিক চিকিৎসা শাস্ত্রে তাঁর বেশ কিছু গবেষনা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রশংসা কুড়িয়েছে। বিশ্ববিখ্যাত বিভিন্ন বিজ্ঞানভিত্তিক জার্নালে তাঁর গবেষনা পত্র প্রকাশিত হয়েছে।

দ্বীনি দাওয়াতঃ ইয়াদ আল কুনাইবী ১৯৯৭ সাল থেকেই তাঁর দাওয়াতী কার্যক্রম শুরু করেন। এসময় তিনি ও তাঁর সঙ্গীগণ বিভিন্ন মসজিদে গিয়ে মুসুল্লীদের মাঝে দ্বীনি দাওয়াত চালাতেন। দ্বীনি দাওয়াতের পাশাপাশি তিনি ইলমে দ্বীনের একনিষ্ঠ ছাত্র হিসেবে কঠোর পরিশ্রম করেন।

শাইখ আব্দুর রহমান বিন আলী আল মাহমুদের নিকট হাফস বিন আ’সিম রহঃ এর সনদে ইলমুল কিরাআত শিক্ষা করেন।

ইবনুল কায়্যিম জাওযী, সাইয়্যিদ কুতুব শহীদ, নাসিরুদ্দীন আলবানী, আলী আল করনী, শাইখ মুহাম্মাদ মুনাজ্জিদ, ড. মুহাম্মাদ আব্দুল কুদ্দুস, ড. মুহাম্মাদ ইসমাইল আল-মুকাদ্দাম, আবু মুহাম্মাদ মাকদাসী এবং ড. রাগিব সারজানী রহঃ প্রমূখ বিশ্ব বরেন্য ব্যক্তিবর্গের লিখনির একনিষ্ঠ পাঠক হয়ে উঠেন। এসকল মনিষীর লিখনী হতে তিনি তাফসীর, সীরাত, ফিকাহ সহ বিভিন্ন দ্বীনি শাস্ত্রে গভীর ব্যুৎপত্তি লাভ করেন।
দেশের গণ্ডি পেড়িয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও তিনি মুসলিম-অমুসলিম সবার দ্বীনের দাওয়াত অব্যাহত রাখেন।

বিভিন্ন আরব ও অনারব ইসলামী ব্যক্তিত্ব ও বিশ্বব্যাপী ইসলামী আন্দোলনের উত্থান পতনে তিনি গভীরভাবে প্রভাবিত হন। তাঁর দাওয়াতী কার্যক্রমে জিহাদের পক্ষে ও ক্রসেডারদের বিপক্ষে জোড়ালো বক্তব্য ও লিখনী উঠে আসতে শুরু করে। যার ফলশ্রুতিতে আফগান জিহাদে তালিবানকে সহযোগিতার অভিযোগ সহ বিভিন্ন অভিযোগে তিনি বেশ কয়েকবার গ্রেফতার হন এবং বন্দি জীবনের স্বাদ গ্রহণ করেন। ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত চার বার গ্রেফতার হয়ে বিভিন্ন মেয়াদে দুই বছরেরু বেশি সময় তিনি কারাবন্দী থাকেন।

হামলা, মামলা ও বন্দী জীবনের ভয় আদর্শের পথে তাঁর যাত্রাকে রুখতে পারেনি। ক্ষুরধার লিখনীর পাশাপাশি বক্তব্য, তথ্যচিত্র নির্মান, বিভিন্ন কর্মশালার মাধ্যমে স্যোশাল মিডিয়া সহ সাধারণ জীবনেও তিনি তাঁর দাওয়াতের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। www.al-furqan.org সাইটটিতে ঢু মারলে তাঁর কার্যক্রমের বিস্তারিত ফিরস্তি মিলবে।
রচনাঃ ‘হাজান নিফাকু ফাহজারুহ’(নিফাক থেকে বাঁচুন) তাঁর অনবদ্য একটি রচনা। এছাড়াও ‘বিহুব্বিল্লাহি আতাসব্বারু’, ‘ফি কুল্লি ইয়াওমিন লানা ঈদুন’ এবং ‘ গায়াতুন ওয়া আয়াতুন’ নামে তাঁর একাধিক কাব্যগ্রন্থ রয়েছে। তাঁর নিজস্ব সাইটে তাঁর রচিত বিভিন্ন প্রবন্ধ, নিবন্ধ, তথ্যচিত্র ও ভিডিও বার্তা রয়েছে।

আল্লাহ তা’আলা তাঁর ইলম, আমল ও মেহনতকে কবুল ফরমান।

-45%
Original price was: 160 ৳ .Current price is: 88 ৳ .
-30%
Original price was: 237 ৳ .Current price is: 165 ৳ .
-25%
Original price was: 250 ৳ .Current price is: 188 ৳ .
-30%
Original price was: 167 ৳ .Current price is: 117 ৳ .
-35%
Original price was: 1,231 ৳ .Current price is: 800 ৳ .
-30%
Original price was: 300 ৳ .Current price is: 210 ৳ .
-30%
Original price was: 347 ৳ .Current price is: 243 ৳ .
-30%
Out of stock
Original price was: 300 ৳ .Current price is: 210 ৳ .
-30%
Original price was: 324 ৳ .Current price is: 227 ৳ .