বিশ্বব্যাপী বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের স্বীকৃত আইন আছে এবং তার প্রয়ােগও আছে। অথচ মানব জাতিকে রক্ষা করার শত প্রকার নিয়ম থাকলেও তার প্রয়ােগ যেন হঠাৎ করে থমকে গেছে। সমুখপানে এগিয়ে যাওয়ার কোন শক্তি নেই। অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে, ইরাক-আফগান জনগণ বন্যপ্রাণী থেকেও নিকৃষ্ট এসব কি অদৃশ্য শক্তির নির্ধারিত বিষয়?- আদৌ নয়। এটা মুসলমানদের কর্মের ফল। তা থেকে যে রেহাই পাওয়ার কোন পথ নেই। মুসলমানজাতি হারিয়ে ফেলেছে নিজ অধিকার ও সম্মান-ইজ্জত। কারাে কোনাে সাহায্য বা সহানুভূতি পাওয়ার অধিকারও বুঝি তাদের নেই। থাকলেই বা আর কতদূর? নিপীড়িতদের পাশে দাঁড়ানাের লােক কোথায়? তারা। স্বাধীনতা হারা, সম্পদহারা, ভিটেবাড়িহীন এক অসহায় জাতি। তারপরও দুনিয়ার সব মুসলমান নিপা। তাদের সাহায্যে এগিয়ে যাওয়ার বিন্দুমাত্র চিন্তাও নেই যেন। কোথায় গেল ধার্মিকদের ধর্মপ্রীতি, ধর্মপ্রাণদের ধর্ম বিশ্বাস এবং প্রগতিবাদীদের সামাজিক মূল্যবােধ? দুর্বল ও নিপীড়িতদের আর্তচিৎকার কারাে কর্ণকুহরে আজও প্রবেশ করছে না।
এত বাধাবিপত্তি, অসহায় অবস্থা, তবু তার ভেতর দিয়েও আশার কথা হলো দাজ্জালি শক্তির সাঙ্গপাঙ্গদের আধুনিক প্রযুক্তি, ভয়ঙ্কর মারণাস্ত্র এবং ধ্বংসাত্মক বৈমানিক শক্তি এসব দুর্বল ও নির্যাতিত মুসলিমদের বিলকুলই প্রভাবিত করতে পারেনি। কারণ তাদের দৃষ্টি পৃথিবীর বাহ্যিক শক্তি, জনবল বা নিজ জাতির ওপরও নয়, বরং সকল আসবাবের মালিক আল্লাহ তা’আলার প্রতি ছিল। তাই, নিযাতিত সব মুসলিমদের আজ দেখা যাচ্ছে অসম কুফরি শক্তিকে শুধু প্রতিহতই করছেন, রীতিমত নাকানি চুবানি ও খাওয়াচ্ছে! এবার তাহলে অন্যদের এগিয়ে যাওয়ার প্রয়ােজন নেই?
আজ বিশ্বের মানুষ দুইটি দলে বিভক্ত। দাজ্জালি দোসর। আর অন্যদিকে মাহদীসেনা, শয়তানের দোসর আর আল্লাহর পক্ষের শক্তি। বিগত ইতিহাস আমাদের সামনে উপস্থিত, তাগুতি শক্তি যতই শক্তিশালী হোক তাদের পতন অনিবার্য। আর যারা আল্লাহতে বিশ্বাসী সাময়িকভাবে পরাস্ত হলেও সর্বশেষ বিজয় তাদের হয়। বক্ষমান পুস্তক “আমার মায়ের স্বপ্ন” সে সত্য মিথ্যার। পার্থক্য নির্ধরিত করে দিয়েছে। আলােচিত হয়েছে এখানে। মানবতার রক্তে রঞ্জিত হাত জুলুম, নির্যাতন, বর্বরতা হিংস্রতা, আর অন্য দিকে মজলুমানের ডাকে বিশ্বের দুর দুরান্ত থেকে ছুটে আসায় মুহাম্মাদী শাদ্দাদের বীরত্ব, সাহসিকতা, ত্যাগের খোদায়ী মদদ জীবন্ত উপমা।
Reviews
There are no reviews yet.