ভাষা ও বানান— আমাদের জীবনের একটি অবহেলিত অংশ।
সহজে বললে, আমরা আরবি, উর্দু, ফারসি বা ইংরেজির ভাষারীতি শিখছি অহরহ; কিন্তু মাতৃভাষার ভাষারীতি শিখতে গেলেই ‘ইগো’ চলে আসে। এর একটি করুণ উদাহরণ হলো ফেসবুকের বানান আন্দোলন গ্রুপ। তাদের প্রতিটি পোস্টের নিচে কমেন্ট দেখলে রুচি হারিয়ে ফেলি।
অথচ অন্যান্য ভাষার পাশাপাশি বাংলা ভাষার বানান ও উচ্চারণ-রীতি শেখাটাও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আপনি যদি আলেম হোন তাহলে আপনি সাধারণ লোক ও আল্লাহ তাআলার মাঝে শরিয়তের বিধান পৌঁছানোর মাধ্যম।
الفقيه واسطة بين الله وبين العبد
❝ফকিহ হলেন আল্লাহ ও বান্দার মাঝে ওয়াসেতা❞
সুতরাং মানুষকে বোঝেমতো ভাষায় দাওয়াত দিতে হলে শুদ্ধ বাংলার গুরুত্ব অপরিসীম। তবে এক্ষেত্রে আমাদের প্রধান অন্তরায়গুলো হলো—
১. অলসতা
২. আঞ্চলিকতা
৩. বৈরিতা
৪. জড়তা
৫. নির্দয়তা
(প্রত্যেকটির ব্যাখ্যা আছে)
উদাহরণস্বরূপ, শুদ্ধ বলার গুরুত্বের প্রতি লক্ষ করুন, আপনি কোথাও বয়ানের উদ্দেশ্যে দাঁড়ালেন, আপনার সামনে শিক্ষিত-অশিক্ষিত সবাই বসা আছে। এখন আপনি যদি শুদ্ধভাবে তাদের দাওয়াত দিতে না পারেন, তাহলে দাওয়াত গ্রহণ করার বদলে উল্টো হাসি-ঠাট্টা জোটার আশঙ্কাই বেশি। আর আপনি যদি প্রাঞ্জল ভাষায়, বিশুদ্ধ উচ্চারণে মানুষকে দশ মিনিট দ্বীনের কথা বলেন, দেখবেন সবাই মন্ত্রমুগ্ধের মতো তাকিয়ে আছে আপনার দিকে। আপনার প্রত্যেকটি কথা তাদের অন্তরে গেঁথে যাবে।
এমনিভাবে বিশুদ্ধ বানানে লিখার গুরুত্বও অপরিসীম। কারণ, লেখা যদি ভুলোত্তির্ণ না হয়, তাহলে তা কখনো কালোত্তির্ণ হয় না।
বাঙলা বানান-রীতি বইটির ফ্রি পিডিএফ অফিসিয়ালি অনুমোদিত নয়।
বাঙলা বানান-রীতি বইটি পড়ে রিভিউ সেকশনে রিভিউ দিয়ে অপরকে উৎসাহিত করুন।
Reviews
There are no reviews yet.